উচ্চমাধ্যমিক পাশ পড়ুয়াদের জন্য নতুন উদ্যোগ শিক্ষা দপ্তরের! বিস্তারিত পড়ে নিন

Westbengal Education Department new initiative for HS students

বিগত বেশ কিছু বছরের রিপোর্ট অনুসারে উচ্চমাধ্যমিকের পর ছাত্রছাত্রীরা উচ্চ শিক্ষার প্রতি আগ্রহ না দেখিয়ে মেডিকেল, ইঞ্জিনিয়ারিং বা অন্যান্য টেকনিক্যাল বা পেশাদারী কোর্সের প্রতি বেশি ঝুঁকেছেন। অনেকে আবার নিজের পছন্দসই বিভিন্ন কোর্সে ভর্তি হন এত কিছুর পরেও প্রায় 30% ছাত্রছাত্রীর হিসেব উচ্চ মাধ্যমিকের পরে সরকারি খাতায় কোনরূপ রেকর্ড থাকে না। হয়তো ড্রপ আউট বা আর্থিক কারণে তারা পড়াশোনা থেকে বঞ্চিত থাকেন।

   

উচ্চ মাধ্যমিকের পর সকল পড়ুয়ারাই কি উচ্চ শিক্ষায়? অর্থাৎ কতজন পড়ুয়া উচ্চ শিক্ষার জন্য কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হয়েছেন সম্প্রতি সেটি নিয়েই পর্যালোচনায় রয়েছেন শিক্ষা পর্ষদ। এ নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ ছাত্রছাত্রীদের জন্য নতুন উদ্যোগ নিল শিক্ষা দপ্তর (Banglar Shiksha), সমস্ত কিছু তুলে ধরব আজকের প্রতিবেদন।

উচ্চ মাধ্যমিক পরবর্তী ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য নতুন উদ্যোগ পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষা দপ্তরের

চলতি বছরে কেন্দ্রীয়ভাবে ভর্তির পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট স্কুল গুলির প্রধান শিক্ষকদের স্কুলের কৃতি এবং অন্যান্য ছাত্রছাত্রীরা উচ্চ মাধ্যমিকের পরে কোথায় ভর্তি হচ্ছেন তার বিস্তারিত ডেটাবেস তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এমনিতেই বিভিন্ন স্কুলগুলিতে শিক্ষক এবং শিক্ষা কর্মীর সংখ্যায় ঘাটতি রয়েছে, কাজেই এ মত অবস্থায় এই উদ্যোগের কাজ কতটা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা যাবে তা নিয়ে শিক্ষক মহলের দাবি। কেননা রোজকার স্কুলের ভিন্ন কাজের বাইরে পরিকাঠামোর কাজের জন্য সব স্কুলগুলিকেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। এরপর স্কুলের পাশ করে বেরিয়ে যাওয়া প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে পুনরায় যোগাযোগ করা, তাদের এই ডেটা তৈরি করার যথেষ্ট চ্যালেঞ্জের।

আরো পড়ুন: Yogyashree: যোগ্যশ্রী প্রকল্পে দেশজুড়ে সাফল্য! নতুন ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর! সবাই সুবিধা পাবে

কি কারনে এই উদ্যোগ? ড্রপ আউট কমানো থেকে আর্থিক সাহায্য!

পাশাপাশি সকল ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে তাদের অর্থনৈতিক অবস্থার বিস্তারিত জানতে বলা হয়েছে। একমাত্র উদ্দেশ্য হলো উচ্চমাধ্যমিকের পর মোট কতজন ছাত্রছাত্রীরা ড্রপ আউট হয়েছে তার বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা এবং পরবর্তীতে যাতে উচ্চমাধ্যমিকের পর ছাত্রছাত্রীদের ড্রপ আউট কমানো যায় সেই লক্ষ্যে মনোনিবেশ করা।

স্কুল ছুটের পাশাপাশি কতজন উচ্চ মাধ্যমিক পড়ুয়ারা বর্তমানে উচ্চ শিক্ষার জন্য কলেজে (Banglar Uchchashiksha) ভর্তি হয়েছেন তার তথ্যভাণ্ডার সংগ্রহ করতে শিক্ষা দপ্তরের এই সিদ্ধান্ত। শুধু সরকারি বা সরকার ঘোষিত স্কুলগুলি থেকেই নয় বেসরকারি স্কুলগুলি থেকেও তথ্য সংগ্রহে নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা দপ্তর।

দারুন আপডেট: Taruner Swapno Tab er Taka 2024: ক্লাস 11-12 সবাই পাবে মোবাইল কেনার ১০০০০ টাকা! দেখে নাও কবে?

এই উদ্যোগকে বাস্তবায়িত করতে শিক্ষা দপ্তরের তরফ থেকে সমগ্র রাজ্যের সবকটি জেলাকে তিনটি জোনে (ZONE) ভাগ করা হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট জোনগুলির সরকারি এবং বেসরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের বৈঠকে ডাকা হয়েছে।

লক্ষ্য একটাই প্রত্যেক কৃতি ছাত্র-ছাত্রীরা যাতে উচ্চ মাধ্যমিকের পর উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে সরকারি সুযোগ-সুবিধা নিয়ে শিক্ষার আঙিনায় থাকতে পারে। এবং যারা আর্থিক অভাবে কোনরকম পড়াশোনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তাদের সব রকম ভাবে সহযোগিতার চেষ্টা করা হবে।

আমাদের হোয়াটসঅ্যাপটেলিগ্রাম গ্রুপে যুক্ত হোন -

Join Group

Telegram