বর্তমানে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে বিভিন্ন পদে শূন্য পদ প্রার্থীদের কাছে বেশ আশার আলো হয়ে দাঁড়িয়েছে। আজকে প্রতিবেদনের আলোচ্য বিষয় হলো অঙ্গনওয়াড়ি সহায়িকা এবং কর্মীর মধ্যে মূল পার্থক্য কি এবং কিভাবে সহায়িকা থেকে কর্মী পদে পদোন্নতি করতে পারবেন? বেতন সুযোগ-সুবিধা কি রয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ তাই আপনি যদি না জেনে থাকেন সেক্ষেত্রে প্রতিবেদনের প্রথম থেকে শেষ অবধি সম্পূর্ণটা পড়বেন।
অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী এবং সহায়িকার কাজ কী কী?
অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী – প্রধান কাজ হলো গ্রামীণ শিশু সাহায্য কেন্দ্রের অন্তর্ভুক্ত ইন্টিগ্রেটেড চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট সার্ভিস এর অধীনে শিশুদের পর্যাপ্ত এবং সঠিক মানসম্পন্ন খাদ্য সরবরাহ করা এবং উন্নত মানের জলের সরবরাহ,, স্যানিটেশন এবং উপযুক্ত বয়সে টিকাকরণের দেখভাল করার দায়িত্ব পালন করা। এর পাশাপাশি অনেক অফিশিয়াল খাতা পত্রের কাজও করতে হয় হিসাব নিকাশ সহ ম্যানেজমেন্ট করার জন্য।
অঙ্গনওয়াড়ি সহায়িকার কাজ – অঙ্গনওয়াড়ি শিশুদের স্বাস্থ্য দেখভাল করা এবং অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীকে বিভিন্ন কাজে যথাসাধ্য সাহায্য করা। একইভাবে খাতা পত্রের কাজ এখানেও থাকে সেক্ষেত্রে কর্মীকে সাহায্য করায় মেন কাজ।
আজকাল অধিকাংশ চাকরিপ্রার্থীদের অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী বা সহায়িকা পদে যোগদান করার কারন কি?
অধিকাংশ প্রার্থীদের এই পদে যোগদান করার একটাই কারণ বাড়ির কাছাকাছি ব্লকে পোস্টিং। অর্থাৎ সাংসারিক সমস্ত কাজ সেরে প্রার্থীরা তাদের ডিউটিতে যোগদান করতে পারবেন।
Salary of ICDS Worker & Helper: অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকার বেতন
অনেকের মনে একটা প্রশ্ন রয়েছে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী এবং সহায়িকা পদের মধ্যে বেতনের পার্থক্য ঠিক কতটা? তো তাদের জন্য আজকে কর্মী এবং সহায়িকা উভয় পদের বেতনের মান তুলে ধরেছি যারা এখনো পর্যন্ত এই বিষয়ে জানো না অবশ্যই দেখে নেবে।
অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী | মাসিক ৯০০০ টাকা |
অঙ্গনওয়াড়ি সহায়িকা | মাসিক ৭৫০০ টাকা |
আবেদন চলছে: Post Office GDS: পোস্ট অফিসে গ্রামীণ ডাক সেবক যোগ্যতা, বেতন, বিভিন্ন পদ!
Promotion From ICDS Helper to Worker: কি ভাবে সহায়িকা থেকে কর্মীতে প্রমোশন করতে পারবেন?
এই প্রসঙ্গে প্রথমত বলে রাখি যে সকল প্রার্থীরা সহায়িকা পদে সংশ্লিষ্ট ব্লকে পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে কাজ করছেন তারাই কেবল কর্মী পদে পদোন্নতির জন্য আবেদন করতে পারবেন। সহায়িকা পদ থেকে কর্মী পদে পদোন্নতির ফলে আপনার বেতনের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়াবে মাসিক ৯০০০ টাকা।
প্রত্যেক আবেদনকারী প্রার্থীকে অবশ্যই পরীক্ষায় বসতে হবে। কোন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় না বসলে নিয়োগের তালিকা থেকে তাকে বাতিল ঘোষণা করা হবে । লিখিত পরীক্ষা, মৌখিক পরীক্ষা এবং অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে প্রাপ্ত নাম্বারের উপর নির্ভর করে মেরিট স্কোর প্রকাশ করা হবে এবং কর্মীদের নিয়োগ নেওয়া হবে।
দেখে নিন: ICDS অঙ্গনওয়াড়ি পরীক্ষার প্যাটার্ন, নম্বর ও গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম! অবশ্যই দেখে নিন
আশা করি হেল্পফুল তথ্য গুলো খুব সাহায্যকারী হয়েছে। এরকমই আমরা সমস্ত রকমের আপডেট থেকে সঠিক তথ্য আপনাদের কাছে পৌঁছে দিয়ে থাকি। পরবর্তীকালে আমরা প্রস্তুতির জন্য প্র্যাকটিস সেট আনতে চলেছে, আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যান সমস্ত কিছু পরীক্ষার থেকে পড়াশোনার আপডেট পাওয়ার জন্য।
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ ও টেলিগ্রাম গ্রুপে যুক্ত হোন -
আরও আপডেট »