পশ্চিমবঙ্গ উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের (WBCHSE) অধীনে উচ্চ মাধ্যমিক 3rd Semester পরীক্ষা 2026 শুরুর আগে ছাত্রছাত্রীরা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো শেষ মুহূর্তের রিভিশন এবং প্রস্তুতির সাজেশন। এখানে আমরা তুলে ধরলাম বাংলা তৃতীয় সেমিস্টারের সাজেশন, যেখানে থাকবে – কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ, ভাষা, আন্তর্জাতিক কবিতা ও ভারতীয় গল্প, এবং বাংলা শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতির ইতিহাস।
HS 3rd Semester Bengali Suggestion 2026 | উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা তৃতীয় সেমিস্টার সাজেশন
এই সাজেশনটি তৈরি করা হয়েছে একেবারে নতুন সিলেবাস অনুযায়ী এবং এর সঙ্গে দেওয়া হলো সংক্ষিপ্ত নম্বর বিভাজন (Marks Distribution) যাতে পরীক্ষার্থীরা সহজে বুঝতে পারে কোন অংশ থেকে কত নম্বরের প্রশ্ন আসবে। ছাত্র-ছাত্রীদের সুবিধার্থে পিডিএফ দেওয়া থাকবে শেষে।
⚠️ সতর্কীকরণ / Warning Notice
EduTips কর্তৃক প্রদত্ত এই ফ্রি সাজেশন ও স্টাডি ম্যাটেরিয়াল শুধুমাত্র ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষাগত স্বার্থে প্রকাশিত।
👉 এ ধরনের কনটেন্ট কোনোভাবেই ব্যবসায়িক বা বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
👉 সামাজিক মাধ্যম, ভিডিও বা ছবি আকারে এই কনটেন্ট সরাসরি শেয়ার করা যাবে না। যদি শেয়ার করতেই হয়, তাহলে অবশ্যই আমাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট লিংক বা অফিসিয়াল মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন শেয়ার করতে হবে।
🔒 আমাদের নোট বা স্টাডি ম্যাটেরিয়াল থেকে ওয়াটারমার্ক মুছে ফেলা, বিকৃত করা বা অন্য মাধ্যমে প্রকাশ করা আইনি অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এমন কোনো কার্যকলাপ নজরে এলে আমরা প্রযোজ্য ট্রেডমার্ক ও কপিরাইট আইনের আওতায় কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
🙏 আপনার সহযোগিতা ও সচেতনতার জন্য ধন্যবাদ।
নম্বর বিভাজন (Marks Distribution – Bengali 3rd Semester)
বিষয় | নম্বর |
---|---|
গল্প | 08 |
কবিতা | 07 |
প্রবন্ধ | 05 |
আন্তর্জাতিক কবিতা ও ভারতীয় গল্প | 05 |
ভাষা | 10 |
বাংলা শিল্প সাহিত্য ও সংস্কৃতির ইতিহাস | 05 |
প্রশ্ন এবং নম্বর বিভাজনের কথা মাথায় রেখে আমরা তোমাদের জন্য লাইনার টাইপের সহজে অনুশীলনের জন্য দিয়েছি! এখান থেকে যেই রকমই ঘুরিয়ে প্রশ্ন আসুক তোমরা করে নিতে পারবে। আমাদের EduTips অ্যাপের মধ্যে তোমরা নিয়মিত প্র্যাকটিস করতে পারবে। সেখানে বিভিন্ন ধরনের এমসিকিউ তোমাদের জন্য থাকছে।
বাংলা পাঠ্য বই সাজেশন: কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ, আন্তর্জাতিক কবিতা, ভারতীয় গল্প
পাঠ্য বইয়ের প্রস্তুতির জন্য সবার প্রথমে তোমাদের পাঠ্যাংশ গল্প এবং কবিতাগুলোকে খুব ভালো করে গুটিয়ে পড়তে হবে কারণ এখানে প্রত্যেকটা লাইন থেকে প্রশ্ন আসতে পারে, কবিতাগুলির ক্ষেত্রে অবশ্যই মুখস্ত করে নেবে এক্ষেত্রে উত্তর করতে সুবিধা হবে।
পাঠ্য | সাহিত্যিক/ লেখক – লেখিকা | উৎস তথ্য |
---|---|---|
আদরিনী (গল্প) | প্রভাত কুমার মুখোপাধ্যায় | গল্পাঞ্জলি |
দ্বিগ্বিজয়ের রূপকথা (কবিতা) | নবনীতা দেবসেন | নবনীতা দেবসেনের শ্রেষ্ঠ কবিতা |
ধর্ম (কবিতা) | শ্রীজাত | অন্ধকার লেখা গুচ্ছ |
বাঙ্গালা ভাষা (প্রবন্ধ) | স্বামীজি | ‘উদ্বোধন’ পত্রিকা |
পোটরাজ (ভারতীয় গল্প) | শংকর রাও খারাট অনুবাদ: সুনন্দন চক্রবর্তী | মারাঠি গল্প |
তার সঙ্গে (আন্তর্জাতিক কবিতা) | পাবলো নেরুদা অনুবাদ: শক্তি চট্টোপাধ্যায় | পাবলো নেরুদার শ্রেষ্ঠ কবিতা মূল কবিতা: With Her |
‘আদরিণী’ – প্রভাত কুমার মুখোপাধ্যায়
১. পীরগঞ্জের বাবুদের বাড়িতে বিয়ের উপলক্ষে নিমন্ত্রণ দেওয়া হয়েছিল।
২. বিয়ের অনুষ্ঠানে বাইটি বেনারস শহর থেকে আসছিল।
৩. জয়রাম মোক্তার বিশ বছর ধরে এস্টেটে কাজ করছেন।
৪. কাছারি কামাই হবে বলে জয়রাম মুখোপাধ্যায় নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে যেতে চাননি।
৫. জয়রাম মোক্তার মহারাজ নরেশচন্দ্রের আমল থেকে রাজবাড়ির মোক্তার ছিলেন।
৬. সন্ধ্যার মধ্যে বাড়িতে হাতি এসে যাবে বলা হয়েছিল।
৭. মুখুয্যে মহাশয় পূজা সমাপন করে বৈঠকখানায় আসতেন।
৮. জয়রাম মুখোপাধ্যায় চিঠিতে মহারাজ শ্রীনরেশচন্দ্রকে হাতি পাঠানোর অনুরোধ করেন।
৯. তিনি যখন প্রথম এ অঞ্চলে আসেন, তখন তাঁর সঙ্গে ছিল শুধু একটি ব্যাগ ও একটি ঘটি।
১০. জয়রাম মুখোপাধ্যায় যশোহর থেকে এসেছিলেন।
১১. আদালত অবমাননার জন্য তাঁর ৫ টাকা জরিমানা হয়েছিল।
১২. তিনি সেই জরিমানার বিরুদ্ধে মামলা করতে খরচ করেন ₹১৭০০ টাকা।
১৩. সন্ধ্যার আগে মোক্তার মহাশয় বৈঠকখানায় ছিলেন।
১৪. হাতির খাবার হিসেবে প্রস্তুত করা হয়েছিল কলাগাছ ও বৃক্ষের ডাল।
১৫. কুঞ্জবিহারীবাবু প্রথম বিস্মিত হয়ে বলেন, “অ্যা–পাওয়া গেল না?“
১৬. মুখুয্যে মহাশয় গরুর গাড়িতে যেতে রাজি হননি।
১৭. জয়রাম বীরপুর থেকে হাতি কেনার চেষ্টা করেছিলেন।
১৮. উমাচরণ লাহিড়ীর কাছে একটি মাদি হাতি ছিল।
১৯. উমাচরণ লাহিড়ী হাতির দাম চেয়েছিলেন দুই হাজার টাকা।
২০. শেষ পর্যন্ত হাতিটির নাম রাখা হয় আদরিণী।
২১. বড়বধূ হাতির সামনে একটি ঘটিতে জল নিয়ে আসেন।
২২. বরণ করার সময় বড়বধূ হাতির কপালে লাগালেন তৈল ও সিঁদুর।
২৩. বরণ শেষে আদরিণীর সামনে রাখা হয়েছিল কলা, আলোচাল ও অন্যান্য মাঙ্গল্যদ্রব্য।
২৪. নিমন্ত্রণ রক্ষা করার পরদিন বিকেলে জয়রাম মহারাজের সঙ্গে দেখা করতে যান।
২৫. জয়রাম যখন হাতিটি নিয়ে যান, তখন মহারাজ বিস্ময়ে বলেন, “হাতিটি কোথা থেকে এল!“
২৬. নতুন নিয়মে পাশ করা শিক্ষিত মোক্তারের আগমন ছিল তাঁর আয় কমার প্রধান কারণ।
২৭. মুখোপাধ্যায় মহাশয়ের কনিষ্ঠ পুত্র কোলকাতায় পড়াশোনা করছিল।
২৮. আদালতে তাঁকে অনুবাদ করে সাহায্য করতেন জুনিয়র মোক্তার।
২৯. জজসাহেব তাঁকে প্রশংসা করে বলেন, “তিনি একজন ভালো উকিল“।
৩০. তাঁর বড় দুই ছেলের প্রধান সমস্যা ছিল যে, তারা বংশবৃদ্ধি ছাড়া আর কিছুই করত না।
৩১. আদালতে বক্তব্য শেষ করেন বলে, “জজসাহেব বাহাদুর ও এসেসাব মহোদয়গণ“।
৩২. তাঁর শেষ সিদ্ধান্ত ছিল আদালতে আর না যাওয়া।
৩৩. হস্তী ভাড়া দিয়ে প্রতি মাসে আয় হতো ১৫–২০ টাকা।
৩৪. মুখোপাধ্যায়ের জ্যেষ্ঠ পৌত্রের প্রতিদিনের খরচ হতো ৫–৭ টাকা।
৩৫. কল্যাণীর বিয়ের জন্য কনে পক্ষ ২ হাজার টাকা চেয়েছিল।
৩৬. সব খরচ মিলিয়ে বিয়েতে মোট খরচ হতো ৩ হাজার টাকা।
৩৭. কনিষ্ঠ পুত্র বি.এ পরীক্ষায় ফেল করেছিল।
৩৮. বন্ধুরা আশা করেছিল যে হাতিটি ৩ হাজার টাকায় বিক্রি হবে।
৩৯. হাতি বিক্রির জন্য পাঠানো হয়েছিল বামুনহাটের মেলায়।
৪০. বামুনহাটের মেলা ৫ দিন ধরে চলে।
৪১. কল্যাণীর আশীর্বাদ বৈশাখ মাসে হওয়ার কথা ছিল।
৪২. “ব্রহ্মবাক্য বেদবাক্য” কথাটির অর্থ সত্য কথাই সর্বদা কার্যকর হয়।
৪৩. বামুনহাটের মেলার পর আদরিণীকে রসুলগঞ্জে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
৪৪. বৃদ্ধ কষ্ট পেয়ে আদরিণীকে দ্বিতীয়বার বিদায় জানাতে পারেননি।
৪৫. তিনি প্রতিজ্ঞা করেন, তিনি আদরিণীকে দেখতে যাবেন।
৪৬. আদরিণীর জন্য তিনি সন্দেশ ও রসগোল্লা নিয়ে যাবেন বলে ভাবেন।
৪৭. এক চাষী লোক মুখোপাধ্যায় মহাশয়কে পত্র দিয়ে যায়।
৪৮. আদরিণী আমবাগানে শুয়ে পড়েছিল।
৪৯. মধ্যমপুত্র চিন্তায় ছিলেন, আদরিণী মারা গেলে কোথায় কবর দেওয়া হবে।
৫০. বৃদ্ধ মুখোপাধ্যায় মনে করেন, আদরিণী অভিমান করে মারা গেছে।
দ্বিগ্বিজয়ের রূপকথা – নবনীতা দেবসেন
- ‘দ্বিগ্বিজয়’ বলতে বোঝানো হয়েছে আত্মশক্তির বিকাশ।
- ‘দুয়োরাণী’ বলতে বোঝানো হয়েছে রাজপুত্রের মা।
- কবিতার বক্তার কাছে ছিল না ধনুক, তূণীর, শিরস্ত্রাণ।
- বক্তার কাছে ছিল দুটি আশীর্বাদ।
- প্রথম আশীর্বাদ ছিল জাদু–অশ্ব।
- ‘জাদু-অশ্ব’ রূপ নিতে পারে মরুপথে উট, আকাশে পুষ্পক, সমুদ্রে সপ্তডিঙ্গা — সবকটি।
- ‘বিশ্বাস’ কবিতায় চিহ্নিত হয়েছে একটি আশীর্বাদ হিসেবে।
- দ্বিতীয় আশীর্বাদ ছিল মন্ত্রপূত অসি (তরবারি)।
- ভালোবাসা রূপ নিয়েছে তলোয়ার আকারে।
- ‘শানিত ইস্পাত খণ্ড’ বোঝায় ভালোবাসার দৃঢ়তা।
- বক্তা পৌঁছাতে চান তৃষ্ণাহর খর্জুরের দ্বীপে।
- ‘তৃষ্ণাহর খর্জুরের দ্বীপ’ বোঝায় এক অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানো।
- ‘কবচকুণ্ডল নেই’ মানে কোনো রক্ষাকবচ নেই।
- কবিতার বক্তা নির্ভরশীল বিশ্বাস ও ভালোবাসার উপর।
- কবিতার কেন্দ্রীয় ভাব হল আত্মবিশ্বাস ও ভালোবাসার শক্তি।
- ‘সপ্তডিঙ্গা’ প্রতীকী পরিবহন জলযান বোঝাতে ব্যবহৃত হয়েছে।
- বক্তা তার লক্ষ্যে পৌঁছাতে চান বিশ্বাস ও ভালোবাসার মাধ্যমে।
- ‘অভঙ্গুর’ শব্দের অর্থ অটুট।
- ‘উট’ শব্দটি বোঝায় ধৈর্য ও সহনশীলতা।
- কবিতার ভাষা হল অলঙ্কারপূর্ণ।
- ‘শিরস্ত্রাণ’ হল মাথার রক্ষাকবচ।
- কবিতার বক্তা নিজেকে মনে করেন রাজপুত্র।
- কবিতার শিক্ষণীয় দিক হল আত্মবিশ্বাস ও ভালোবাসার শক্তি।
- ‘খর্জুরের দ্বীপ’ প্রকাশ করে পরিত্রাণ ও সাফল্য।
- কবিতার মূল বার্তা হল ভালোবাসা ও বিশ্বাসের শক্তি।
“ধর্ম” (অন্ধকার লেখাগুচ্ছ) – শ্রীজাত
- “ধর্ম” কবিতাটি লিখেছেন শ্রীজাত।
- আবদুল করিম খাঁ-র ধর্ম ছিল সংগীত।
- আইনস্টাইনের ধর্ম ছিল দিগন্ত পেরনো।
- কবীরের ধর্ম ছিল সত্যের বয়ান।
- বাতাসের ধর্ম বলা হয়েছে সবসময় বইতে থাকা।
- ভ্যান গঘের ধর্ম ছিল ছবি আঁকা।
- গার্সিয়া লোরকার ধর্ম ছিল কবিতার জয়।
- লেনিনের ধর্ম ছিল নতুন পতাকা তোলা।
- আগুনের ধর্ম বলা হয়েছে ভস্ম তৈরি করা।
- এত ধর্ম একসঙ্গে থাকে কারণ তারা একে অপরকে জায়গা করে দেয়।
- কবি প্রশ্ন করেছেন কেন অন্য পথ মানুষকে বিভ্রান্ত করে।
- কবিতার মতে প্রকৃত ধর্ম নয় দখল।
- কবিতার মূল শিক্ষা হলো ধর্ম মানে ভালোবাসা ও মানবতা।
- “প্রাতিষ্ঠানিকতা” বলতে বোঝানো হয়েছে গোঁড়ামি ও সংকীর্ণতা।
- ধর্ম চিত্রিত হয়েছে ব্যক্তির কাজ ও বিশ্বাসের মাধ্যমে।
- কবিতা সচেতন করে ধর্মের গোঁড়ামি থেকে মুক্ত হতে।
- কবি ধর্মকে তুলনা করেছেন ব্যক্তির নিজস্ব কাজ ও বিশ্বাসের সাথে।
- কবিতাটি এক ধরনের সামাজিক ও মানবতাবাদী কবিতা।
- ধর্মের প্রকৃত অর্থ হলো সবার প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।
- ধর্ম ব্যাখ্যা করা হয়েছে মানবিক মূল্যবোধের মাধ্যমে।
- প্রতিটি ধর্ম একসঙ্গে বাস করে কারণ তারা একে অপরকে জায়গা করে দেয়।
- কবি ধর্মকে দেখেছেন মানুষকে একত্রিত করার শক্তি হিসেবে।
- কবিতা প্রতিবাদ করে ধর্মের নামে হিংসা ও দখলদারির বিরুদ্ধে।
- ভ্যান গঘের ধর্ম ছিল উন্মাদনা ও আঁকা।
- ধর্মের মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত মানুষকে একত্রিত করা।
বাঙ্গালা ভাষা – স্বামী বিবেকানন্দ
- স্বামী বিবেকানন্দ ১৯০০ খ্রিস্টাব্দে আমেরিকা থেকে ‘উদ্বোধন’ পত্রিকায় চিঠি লেখেন।
- তিনি সাধারণ মানুষের জন্য শিক্ষা দিতে বলেন কারণ কঠিন ভাষা সাধারণের জন্য দুর্বোধ্য।
- স্বামীজির মতে চলিত ভাষায় কথা বলাই স্বাভাবিক।
- “স্বাভাবিক ভাষা ছেড়ে একটা অস্বাভাবিক ভাষা তৈরী করে কি হবে?” — এই প্রশ্নে স্বামীজির মূল ভাব ছিল সাধারণ ভাষার মধ্যেই প্রকৃত শক্তি।
- স্বামীজির মতে, ভাষার গুণ হওয়া উচিত শক্তিশালী ও সহজ।
- তাঁর মতে, ভাষা হওয়া উচিত ইস্পাতের মতো।
- স্বামীজির মতে, কলকাতার ভাষা ধীরে ধীরে সমগ্র বাংলায় ছড়িয়ে পড়বে।
- তিনি বলেন যে বুদ্ধ, চৈতন্য, রামকৃষ্ণ লোকহিতায় এসেছিলেন।
- স্বামীজির মতে, পণ্ডিতদের কঠিন ভাষা ভাষার স্বাভাবিক বিকাশের অন্তরায়।
- ভাষাকে সহজ করতে হলে কলকাতার ভাষা ভিত্তি হিসেবে গ্রহণ করা উচিত।
- তিনি সংস্কৃত ভাষার অতিরিক্ত ব্যবহারের বিরোধিতা করেন কারণ তা সাধারণের ভাষা নয়।
- সংস্কৃতমিশ্রিত দুর্বোধ্য ভাষা পরিত্যাগ করলে জাতীয় জীবনে উন্নতি আসবে বলে তিনি মনে করেন।
- ভাষার গুণ হিসেবে তিনি বলেন ভাষা হওয়া উচিত সহজ, শক্তিশালী, সংক্ষিপ্ত।
- স্বামীজির মতে কৃত্রিম ভাষা ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হবে।
- কলকাতার ভাষা প্রাকৃতিকভাবে শক্তিশালী ও গতিশীল বলে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়বে।
- ভাষার সাথে পরিবর্তিত হয় সমাজব্যবস্থা।
- ভাষা চিন্তার বাহক — এই কথা স্বামীজি স্পষ্টভাবে বলেন।
- ভাষাকে ব্যবহার করা উচিত সাধারণ মানুষের বোঝার উপযোগী করে।
- স্বামীজির মতে, ব্রাহ্মণের সংস্কৃত, শবরস্বামীর মীমাংসাভাষ্য, পতঞ্জলির মহাভাষ্য, আচার্য শঙ্করের ভাষ্য প্রভৃতি উদাহরণ থেকে বোঝা যায় যে এর ভাষা স্বাভাবিক ছিল।
- ভাষার মূল উদ্দেশ্য হলো ভাব প্রকাশ।
- সংস্কৃত ভাষার বিবর্তন দেখে তিনি বলেন ভাষা জীবন্ত থাকলে তার স্বাভাবিক রূপ থাকে।
- ভাষা গঠনের ক্ষেত্রে তিনি গুরুত্ব দেন সাধারণ ও শক্তিশালী রূপে।
- তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করেন যে ভাষা পরিবর্তিত ও সরল হবে।
- স্বামীজির মতে, কৃত্রিম ভাষা ভাব প্রকাশে বাধা সৃষ্টি করে।
- ভাষার সরলীকরণ দরকার, কারণ তা সাধারণ মানুষের বোঝার সুবিধার্থে সহায়ক।
পোটরাজ – শঙ্কর রাও খারাট
- পোটরাজ গল্পটির লেখক শঙ্কর রাও খারাট।
- গল্পের অনুবাদক সুনন্দন চক্রবর্তী।
- পোটরাজ ছিলেন একজন দেবতার সেবক।
- গ্রামের লোকেরা দামার বাড়িতে আসছিল দামার খোঁজ নিতে।
- পোটরাজের সমস্যা ছিল সে জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিল।
- গ্রামবাসীরা পোটরাজকে নিয়ে শ্রদ্ধা করত, কিন্তু অবহেলা করত।
- গল্পের প্রধান সামাজিক সমস্যা ছিল ধর্মীয় গোঁড়ামি ও কুসংস্কার।
- পোটরাজের অসুস্থতা ছিল সমাজের প্রতি অবিচারের প্রতীক।
- গল্পের মূল বার্তা হলো প্রান্তিক মানুষের দুর্দশা ও শোষণ।
- গল্পটি একটি সামাজিক অবিচারের প্রতিবাদমূলক কণ্ঠস্বর।
- গ্রামের পোটরাজ দামার বাড়ির আবহাওয়া ছিল ভারী।
- দামার বৌয়ের চোখ ছিল জল ভরা।
- পোটরাজের বর্তমান অবস্থা ছিল শুধু খালি প্রাণটুকু আছে।
- পাড়ার বৌ-ঝিরা এসে একটুক্ষণ থেকে চলে যাচ্ছিল।
- লোকেরা বারবার জিজ্ঞেস করছিল, পোটরাজ কেমন আছে?
- দুরপতের ছেলে কাকের দিকে ঢিল ছুঁড়ে মারে।
- দুরপত দেবীর কপালে লাগায় কুমকুম ও হলুদ।
- প্রতি আষাঢ়ে দুরপত দেবীর সামনে ভেজা শাড়িতে গড়ান দেন।
- দুরপতের প্রার্থনার উদ্দেশ্য ছিল পোটরাজের সুস্থতা।
- রাতের আঁধারে বাড়ির চারদিকে চক্কর দিচ্ছিল ফেউ।
- পোটরাজের বাড়ি ডাকার পর প্রথমে কোনো জবাব না পাওয়া যায়।
- বঞ্চলাবাঈ বলেন লোকে আসছে কারণ সে গাঁয়ের পোটরাজ।
- পোটরাজ তিনদিন ধরে ঘর থেকে বেরোয়নি।
- গ্রামে অসুস্থতা ছড়িয়ে পড়ছে বলে মেয়েরা মন্তব্য করে।
- দুরপত বাইরে আসার সময় চোখ মুছছিল আঁচলে।
- দুরপতের মতে পোটরাজ বিছানায় পড়ে থাকলে গাঁয়ের লোকেরা যাত্রায় যাবে না।
- পোটরাজ না থাকলে কাকে পোটরাজ ধরা হবে তা ঠিক হয় — দূরপতের ছেলেকে।
- পোটরাজ হওয়ার জন্য শুধু বাক্যি যথেষ্ট নয় বলা হয়েছে।
- আনন্দের শরীরিক প্রতিক্রিয়ায় দেখা যায় ঘামা ও নিঃশ্বাস ঘন হওয়া।
- শেষ পর্যন্ত দূরপত সিদ্ধান্তে পৌঁছায় যে দুজনের কথাই ভাবতে হবে।
- মোড়লের সঙ্গে থাকা একরোখা লোক আনন্দকে পোশাক পরিয়ে মিছিল পাঠাতে জোর দেয়।
- আনন্দ একরোখা লোকের কথা শুনে রাগে কাঁপতে শুরু করে।
- আনন্দ রাগের বশে হাত দুটি কষে ফেলে।
- দূরপতের প্রশ্ন “মায়ের রাগ কি পড়বে”—এর উত্তরে বলা হয় এই কথায় মা রেগে যাবে না।
- গ্রাম মন্ডলের লোকেরা ভয় দেখিয়ে ফিরে যায়।
- আনন্দ বাড়ি থেকে দৌড়ে বেরিয়ে যায়।
- আনন্দ নদীতে চান করতে যায়।
- দেবীর গলায় ছিল সবুজ বালা দিয়ে তৈরি হার।
- দামা উঠে বসে প্রথমে জল চায়।
- আনন্দ ফিসফিস করে মা-কে বলে মারী-আই-কে গাঁয়ের ধারে রেখে এসেছে।
তার সঙ্গে – পাবলো নেরুদা
- “আমরা আবার সেরকম এক জুড়ি“ – এই লাইনের মাধ্যমে কবি বোঝাতে চেয়েছেন তাঁরা শক্তিশালী জুটি।
- “পাথরে–ফাটলেও যাদের বাসা বানাতে আটকায় নি“ – এই লাইনটি বোঝায় প্রতিকূল পরিস্থিতিতে টিকে থাকার ক্ষমতা।
- “কাঁকে ঝুড়ি নাও, শাবল নাও“ – এই কথার অর্থ হল পরিশ্রম করার প্রস্তুতি নেওয়া।
- “সময়টা মাথা যতোই উঁচু করুক“ – এই লাইনে বোঝানো হয়েছে সময় কঠিন হয়ে উঠছে।
- “সময়টা মোটেই সুবিধের না“ – এই কথার মূল ভাব হল জীবন কঠিন।
- “আমাদের দুজনের হাতগুলোই লাগবে“ – এই লাইনটি বোঝায় পরিশ্রম ও একতার প্রয়োজন।
- “আমরা আবার সেরকম এক জুড়ি“ – এখানে কবি বোঝাতে চান তাঁরা একে অপরের প্রতি বিশ্বস্ত।
- “আমরা আমাদের চার হাত চার চোখে একে যুঝবোই“ – এই লাইনটির মূল ভাব হল একসঙ্গে কঠিন সময়ের বিরুদ্ধে লড়াই করা।
- “ধুয়ে মুছে আগুন বানাবার জন্যে“ – এখানে ‘আগুন বানানো’ মানে হল নতুন শক্তি অর্জন করা।
- “শুধু কারনেশন ফুলের জন্যে না, মধু তালাসের জন্যেও না“ – এই কথার অর্থ হল কেবল সৌন্দর্য বা আরাম নয়, বাস্তব লড়াইয়ের প্রয়োজন।
- “রোসো, আমার জন্যে দাঁড়াও“ – এখানে ‘রোসো’ মানে অপেক্ষা করতে বলা।
- “সময়টা মাথা যতোই উঁচু করুক“ – এই বাক্যের অর্থ হল সময় যত কঠিনই হোক না কেন, লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।
- কবিতাটি মূলত সম্পর্ক ও সহমর্মিতার উপর লেখা, যার মূল ভাব হল সম্পর্কের বন্ধন।
- কবি তাঁর সঙ্গীকে সঙ্গে আনতে বলেন শাবল, ঝুড়ি ও কাপড়চোপড়।
- কবি ও তাঁর সঙ্গী প্রতীক হিসাবে দাঁড়ায় একতা ও সহমর্মিতার।
👇 উত্তরসহ নতুন সেমিস্টার MCQ স্মার্ট সাজেশন Notes PDF! [মাত্র 40 টাকা]
বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি সাজেশন (HS 3rd Sem Vash Sahitya Suggestion)
ছাত্রছাত্রীরা নিজেরাও জানো এই অংশটার সিলেবাস টা কতটা বড় এবং এই অংশ থেকে সাজেশন দেয়াটাও অনেকটা চাপ, কারণ প্রত্যেক লাইনে লাইনে প্রশ্ন, গুরুত্বপূর্ণ সাল, নাম – তবুও তোমাদের জন্য সর্বাধিক সম্ভাব্য যেখান থেকে প্রশ্ন আসতে পারে.. সেগুলিকে এক জায়গায় করে দেওয়া হল।
ভাষা (ব্যাকরণ)
শব্দার্থতত্ত্ব
- শব্দার্থতত্ত্বে ‘অর্থ’ বলতে বুঝানো হয় একটি শব্দের সঙ্গে আরেকটি শব্দের সম্পর্ক।
- শব্দার্থতত্ত্বের অংশ নয় সাধারণ ভাষায় ‘অর্থ’ এর ব্যবহার।
- শব্দার্থতত্ত্বে ‘নিদর্শন’ শব্দটি বোঝায় কোন শব্দের ব্যবহারিক নির্দেশনা।
- শব্দার্থতত্ত্বে শব্দের বিশ্লেষণ করা হয় মূলত তার অর্থ নিয়ে।
- অভিধানে ‘আকাশ’ শব্দের অর্থ হলো সবকটি (অন্তরিক্ষ, গগন, ব্যোম)।
- ‘অপূর্ব’ শব্দের সমার্থক শব্দ হিসেবে বিরক্তিকর ব্যবহার করা যায় না।
- সমার্থক শব্দের মধ্যে পার্থক্য থাকে তাদের ব্যবহারিক দিক থেকে।
- ‘বিপরীতার্থকতা’ শব্দের অর্থ হলো শব্দের অর্থের বিপরীত সম্পর্ক।
- ‘ঘোড়া’ শব্দের সমার্থক শব্দ হলো অশ্ব।
- ‘ভালবাসা’ শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ হলো ঘৃণা।
- ‘ভালবাসা’ শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ হলো ঘৃণা।
- ‘বিশ্ব’ শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ হলো সীমাবদ্ধ।
- ‘গ্রীষ্ম’ শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ হলো শীত।
- ‘দৃঢ়’ শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ হলো দুর্বল।
- ‘বিশ্বাস’ শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ হলো সন্দেহ।
- ‘সাধারণ’ শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ হলো বিশেষ।
- শব্দার্থতত্ত্ব শব্দের অর্থ ও তার কার্যকারিতা নিয়ে আলোচনা করে, যা ভাষাতত্ত্ব এর অন্তর্গত।
- সমার্থক শব্দের ব্যবহার ভাষার প্রকারভেদের জন্য একরকম হয় না, কারণ ভাষার প্রকারভেদের জন্য পার্থক্য থাকে।
- ‘বিপরীতার্থকতা’ শব্দের অর্থ হলো শব্দের অর্থগত বৈপরীত্য।
- বাংলায় বিপরীতার্থক শব্দ গঠনের জন্য সাধারণত নেতিবাচক উপসর্গ যোগ করা হয়।
- বিপরীতার্থক শব্দ বলতে বোঝায় বিপরীত অর্থের শব্দ।
- ‘আবশ্যক’ শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ হলো অনাবশ্যক।
- ‘সক্ষম’ শব্দের বিপরীত হলো অক্ষম।
- ‘অতীত’ শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ হলো ভবিষ্যৎ।
- ‘আলোক’ শব্দের বিপরীত হলো আঁধার।
- ‘সমার্থক শব্দ’ বলতে বোঝায় একই অর্থবোধক একাধিক শব্দ।
- শব্দার্থের প্রসার মানে হলো শব্দের অর্থের ব্যাপকতা বৃদ্ধি।
- ‘কুমোর’ শব্দের উৎপত্তি হয়েছে কুস্তুকার থেকে।
- ‘ব্যপকার্থকতা’ বোঝায় একটি শব্দের অর্থে একাধিক শব্দের অন্তর্ভুক্তি।
- ‘থিসরাস’ শব্দের অর্থ হলো রত্নাগার।
- ‘অভিজ্ঞ’ শব্দের বিপরীত অর্থ হলো অনভিজ্ঞ।
- থিসরাস অভিধান শব্দগুলোকে অর্থ অনুসারে গুচ্ছ ভাগে সাজায়।
- ‘আমি তোমাকে যেতে বলেছি’ বাক্যের অর্থ বোঝার জন্য প্রয়োজন অনুষঙ্গ।
- ‘বিপরীতার্থক শব্দ’ বাংলায় তৈরি হয় অনেক সময় নেতিবাচক উপসর্গ যোগ করে।
- ‘গাং’ শব্দটি প্রসারিত হয়ে বোঝায় যেকোনো নদী।
- ‘ধনী’ শব্দের নতুন অর্থ হলো সৌভাগ্যবান।
- ‘অতীত’ শব্দের বিপরীত হলো ভবিষ্যৎ।
- ‘ব্যপকার্থকতা’ শব্দের অর্থ হলো একটি শব্দের অর্থে আরও শব্দের অন্তর্ভুক্তি, অর্থাৎ অর্থের বিস্তার।
- ‘পরশু’ শব্দের আদি অর্থ হলো আগামীকালের পরে দিন।
- প্রয়োগতত্ত্ব সমাজের ভাষা প্রয়োগে অর্থ গঠন নিয়ে বিশ্লেষণ করে।
- শব্দার্থের সংকোচ হলো আদি অর্থের তুলনায় বর্তমান অর্থের ব্যাপকতা কমে যাওয়া।
- ‘অন্ন’ শব্দের আদি অর্থ খাদ্য এবং বর্তমান অর্থ ভাত।
- ‘মৃগ’ শব্দের আদি অর্থ বন্য জন্তু এবং বর্তমান অর্থ হরিণ।
- ‘মুনিশ’ শব্দটির আদি অর্থ মানুষ এবং বর্তমান অর্থ শ্রমিক।
- শব্দার্থের রূপান্তর হলো অর্থের এমন পরিবর্তন যেখানে আদি অর্থের সঙ্গে নতুন অর্থের যোগসূত্র কম পাওয়া যায়।
- ‘গোষ্ঠী’ শব্দের আদি অর্থ গবাদি পশুর থাকার জায়গা এবং বর্তমান অর্থ সমূহ।
- ‘কলম’ শব্দের আদি অর্থ শর বা খাগ এবং বর্তমানে এর অর্থ লেখনী।
- ‘গবেষণা’ শব্দের আদি অর্থ গরু খোঁজা এবং বর্তমান অর্থ হলো নিয়মানুগ বিশ্লেষণ।
- শব্দার্থের উৎকর্ষ হলো শব্দের মূল অর্থ পরিত্যাগ করে উন্নততর অর্থ বহন করা।
- শব্দার্থের অপকর্ষ হলো শব্দের মান হ্রাস পাওয়া।
ভাষাবিজ্ঞান ও তার শাখা–প্রশাখা
- ভাষাবিজ্ঞান হলো ভাষার বিজ্ঞানসম্মত চর্চা।
- ভাষাবিজ্ঞান একটি নিত্য প্রগতিশীল ও সক্রিয় বিদ্যা।
- ভাষাবিজ্ঞান আরোহমূলক পদ্ধতিতে এগিয়ে চলে।
- ভাষাবিজ্ঞানের প্রথম ধাপ হল তথ্যসংগ্রহ ও নথিভুক্তকরণ।
- ভাষাবিজ্ঞান মূলত মানুষের মুখের ভাষা চর্চা করে।
- তুলনামূলক ভাষাবিজ্ঞানের সূচনা করেন স্যার উইলিয়াম জোন্স।
- তুলনামূলক ভাষাবিজ্ঞান ভাষার মূল উৎস পুনর্নির্মাণ প্রক্রিয়া করে।
- ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞান ভাষার কালগত রূপান্তর ও তার কারণ আলোচনা করে।
- ভাষাবিজ্ঞান ভাষার তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে ভাষার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা প্রদান করে।
- ভাষাবিজ্ঞান ভাষার প্রতি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে আলোচনা করে।
- ভাষার বিবর্তনের মূল কারণ হলো ধ্বনি পরিবর্তন।
- ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞান মূলত ভাষার রূপান্তরের ধারা নিয়ে আলোচনা করে।
- ভাষার গঠন ভাষাবিজ্ঞান শাখার অন্তর্গত।
- ভাষাবিজ্ঞান মানব ভাষার গঠন ও প্রকৃতি নিয়ে বৈজ্ঞানিক আলোচনা করে।
- ভাষাবিজ্ঞানের প্রধান শাখাগুলোর মধ্যে একটি হলো তুলনামূলক ভাষাবিজ্ঞান।
- ভাষাবিজ্ঞান মুখের ভাষাকে গ্রহণ করে, লিখিত ভাষা নয়।
- ভাষাবিজ্ঞান ঊনবিংশ শতাব্দী থেকে বৈজ্ঞানিক চর্চা শুরু করে।
- ভাষাবিজ্ঞান ভাষাকে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে বিশ্লেষণ করে।
- তুলনামূলক ভাষাবিজ্ঞান ভাষাগুলির তুলনা করে এবং মূল ভাষা নির্ধারণ করে।
- বাংলা ভাষার উৎপত্তি প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষার ধারায় হয়েছে।
- সচল বা পরিবর্তনশীল সমাজভাষাবিজ্ঞান মূলত ভাষাকে ইতিহাসের দিক থেকে দেখে।
- দুটি ভাষা সমান্তরালভাবে টিকে থাকলে তাকে দ্বিভাষিকতা বলা হয়।
- ভাষার সংরক্ষণ সংক্রান্ত প্রশ্ন আসে যখন একটি ভাষা হারিয়ে যায়।
- মাতৃভাষা শেখানোর পদ্ধতি প্রয়োগমূলক সমাজভাষাবিজ্ঞান শাখার অন্তর্গত।
- মনোভাষাবিজ্ঞান ভাষা ও মনের সম্পর্ক নিয়ে কাজ করে।
- নোয়াম চমস্কি ভাষা শেখার ক্ষেত্রে Universal Grammar ধারণাটি দিয়েছিলেন।
- ব্রোকা এলাকা মস্তিষ্কের বাঁ মস্তিষ্কে অবস্থিত।
- স্নায়ুভাষাবিজ্ঞান মানব মস্তিষ্ক ও ভাষার সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করে।
- শৈলী বিজ্ঞান মূলত ভাষার সৌন্দর্যবোধ এর উপর নির্ভরশীল।
- ভাষার শৈলীভেদ নির্ধারণে প্রেক্ষাপট ও উদ্দেশ্য বিবেচিত হয়।
- সাহিত্যিক শৈলীর বিভিন্ন প্রকারভেদ থাকে কারণ এটি পরিবেশ ও আবহ ভেদে পরিবর্তিত হয়।
- রাশিয়ান ফর্মালিজম মূলত কাজ করে সাহিত্যিক শৈলী বিশ্লেষণে।
- মনোভাষাবিজ্ঞান ভাষা শেখার মানসিক প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করে।
- স্নায়ুভাষাবিজ্ঞান ভাষার সঙ্গে সম্পর্কিত অংশ হলো মস্তিষ্কের ভাষা নিয়ন্ত্রণ।
- ব্রোকা এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত হলে মানুষে উচ্চারণগত সমস্যা হয়।
- Wernicke’s Area প্রধানত ভাষা বোঝার কাজে নিয়োজিত।
- শৈলী বিজ্ঞান ভাষার সাহিত্যিক ভাষার রূপ বিশ্লেষণ করে।
- দুই ভাষার পাশাপাশি ব্যবহারের অবস্থা কে বলা হয় দ্বিভাষিকতা।
- নোয়াম চমস্কি ভাষা শেখার জন্য যন্ত্র হিসেবে LAD (Language Acquisition Device) ধারণাটি উপস্থাপন করেছেন।
- স্নায়ুভাষাবিজ্ঞানের প্রধান গবেষণার বিষয় হলো ভাষা ও মস্তিষ্কের সম্পর্ক।
- ফেদিনাঁ দ্য সোস্যুর ভাষার বিভিন্ন উপাদান ও তাদের পরস্পরের সম্পর্কের মূল সংবিধি হল লাঙ্।
- পারোল হল ভাষার উপাদান নির্বাচন ও প্রতিস্থাপন, অর্থাৎ ভাষার উপাদান নির্বাচন ও প্রতিস্থাপন।
- শৈলীর মূল উপাদান হলো রচনাকারীর ভাষা নির্বাচন।
- ‘স্টাইল হল প্রচলিত আদর্শ থেকে বিচ্যুতি’ মানে রচনাকারীর ভাষা ব্যবহারের পৃথকতা।
- ‘Code Switching’ বা কোড বদল বলতে বোঝায় এক ভাষায় অন্য ভাষার শব্দ ব্যবহার, অর্থাৎ এক ভাষায় অন্য ভাষার শব্দ ব্যবহার।
- ‘Polyphony’ বা বহুস্বরিতা হলো বহু চরিত্রের স্বর ও ভাষার গঠন, অর্থাৎ বহু চরিত্রের স্বর ও ভাষার গঠন।
- ‘Lexicography’ বা অভিধান রচনা ভাষাবিজ্ঞানের একটি শাখা হিসেবে কাজ করে শব্দের উচ্চারণ ও অর্থের বিশ্লেষণ এর মাধ্যমে।
- ‘Foregrounding’ বা প্রমুখন ও ‘Deviation’ বা বিচ্যুতি একে অপরকে পরিপূরক হিসেবে কাজ করে ভাষার শৈলী ও নির্বাচনে বৈশিষ্ট্য প্রদর্শনের মাধ্যমে।
- ভাষাশাস্ত্রে ‘Brevity’ বা সংক্ষিপ্ততা প্রকাশ পায় অর্থপূর্ণ ভাষার সঠিক প্রয়োগের মাধ্যমে, অর্থাৎ অর্থপূর্ণ ভাষার সঠিক প্রয়োগ।
- ‘Semantic Shift’ বা শব্দগত পরিবর্তন বলতে বোঝায় শব্দের মধ্যে বিভিন্ন অর্থের প্রতিস্থাপন, অর্থাৎ শব্দের মধ্যে বিভিন্ন অর্থের প্রতিস্থাপন।
ধ্বনিতত্ত্ব
- ‘ধ্বনি’ শব্দটি ইংরেজি শব্দ Sound থেকে এসেছে।
- ধ্বনি বলতে বোঝায় উচ্চারণযোগ্য শব্দ।
- ধ্বনিতত্ত্বের অর্থ হলো ধ্বনির ব্যবহারিক চরিত্র বিশ্লেষণ।
- ধ্বনির উচ্চারণযোগ্যতা নির্দেশ করে তার শ্রবণযোগ্যতা।
- ধ্বনি উচ্চারণের সময় মুখে যা ঘটে তাকে বলা হয় বর্ণ।
- ধ্বনির প্রধান দুই শাখা হলো স্বরধ্বনি ও ব্যঞ্জনধ্বনি।
- ‘স্বরধ্বনি’ হলো বাধাহীন উচ্চারণ।
- ‘ব্যঞ্জনধ্বনি’ হলো স্বরের সঙ্গে বাধার মিশ্রণ।
- ধ্বনি বিশ্লেষণ করে শাখা হলো ধ্বনিবিজ্ঞান।
- ‘স্বরধ্বনি’ ও ‘ব্যঞ্জনধ্বনি’ বিভাজনের ভিত্তি হলো উচ্চারণে বাধা।
- বাংলায় ধ্বনির উচ্চারণ বিভক্তি চার প্রকার।
- বাংলা ভাষায় মোট ১০টি স্বরবর্ণ ধ্বনি আছে।
- বাংলা ভাষায় মোট ৪০টি ব্যঞ্জনধ্বনি আছে।
- উচ্চারণের দিক থেকে ব্যঞ্জনধ্বনি ৪টি ভাগে বিভক্ত।
- ঘোষ মহাপ্রাণ ধ্বনি হলো ঘ।
- স্পর্শ ধ্বনি ৫ ভাগে বিভক্ত।
- ব্যঞ্জনধ্বনি ‘ন’ হলো নাসিক্যধ্বনি।
- উচ্চারণস্থানের উপর ভিত্তি করে ধ্বনি ৫ প্রকার।
- ঘোষ অল্পপ্রাণ ধ্বনি হলো দ।
- বাংলা ভাষার ধ্বনি মূলত দুটি রকম — স্বরবর্ণ এবং ব্যঞ্জনধ্বনি।
- বাংলায় /ন/ ধ্বনির তিনটি রূপ হল ন, ণ, ঞ।
- শব্দে ধ্বনিমূলের অবস্থানের নিরিখে তিন প্রকার ধ্বনিসংবিধি হল নতুনতাসংবিধি, পরিপ্রেক্ষিতসংবিধি, ধ্বনিমূলের অবক্ষেপণ ও সমাবেশ।
- ‘গালা-খালা’ শব্দজোড়া属于 নতুনতাসংবিধি।
- ধ্বনিমূল হিসেবে বাংলা মান্য ধ্বনিস্বরূপ হলো /য/।
- ধ্বনিমূল /ঝ/ বাংলায় উচ্চারিত হয় /জ/ ধ্বনিতে।
- পরিপ্রেক্ষিতসংবিধির ফলে ‘স্নান’ শব্দে উচ্চারিত ধ্বনি হল /স/।
- শব্দে ধ্বনিমূলের অনুপস্থিতিকে বলা হয় অবক্ষেপণ।
- ধ্বনিমূল সমাবেশ হল একাধিক ধ্বনি যোগে নতুন ধ্বনির সৃষ্টি।
- ‘স্টেশন’ শব্দে ধ্বনি সমাবেশ ঘটেছে /স+ট+শ/ দিয়ে।
- বাংলা ভাষায় ধ্বনিমূলের পরিবর্তন প্রধানত ঘটে উচ্চারণ সহজ করার জন্য।
- বাংলায় ব্যঞ্জনধ্বনির সমাবেশে যে দুটি যুগ্মধ্বনি তৈরি হয় সেগুলি হলো গুচ্ছধ্বনি ও যুক্তধ্বনি।
- গুচ্ছধ্বনি সাধারণত শব্দের অভ্যন্তরে সৃষ্টি হয়।
- ‘উত্তর’ শব্দে একটি গুচ্ছধ্বনি দেখা যায়।
- গুচ্ছধ্বনির মধ্যে সাধারণত স্বরধ্বনি অনুপস্থিত থাকে।
- তিন ব্যঞ্জনের গুচ্ছধ্বনিতে শেষ ব্যঞ্জনধ্বনি হয় র।
- বাংলায় তিন ব্যঞ্জনের গুচ্ছধ্বনি আছে মোট ৮টি।
- বাংলায় চার ব্যঞ্জনের গুচ্ছধ্বনি দেখা যায় ‘সংস্কৃত’ শব্দে।
- বাংলা ভাষায় নিজের শব্দে মোট ২৮টি যুক্তধ্বনি রয়েছে।
- ঋণশব্দ থেকে আগত যুক্তধ্বনির সংখ্যা হলো ১৮টি।
- অবিভাজ্য ধ্বনি না থাকলে বাংলা ভাষা চেনা যায় না।
- বাংলা ভাষায় গুচ্ছধ্বনির সংখ্যা আনুমানিক ২০০টির বেশি।
- যেসব ধ্বনি দলসীমা ছাড়াই উচ্চারিত হয়, তাদের বলে যুক্তধ্বনি।
- ‘স্পষ্ট’ শব্দে একটি যুক্তধ্বনি রয়েছে।
- বাংলা ভাষায় তিন ব্যঞ্জনের গুচ্ছধ্বনির তৃতীয় ব্যঞ্জন ধ্বনি হয় র।
- ‘ট্যাক্স’ শব্দটি একটি ঋণশব্দ।
- গুচ্ছধ্বনি কখনো শব্দসীমায় থাকে না।
- ‘স্ত্রী’ শব্দে রয়েছে তিন ব্যঞ্জনে যুক্তধ্বনি।
- ‘যন্ত্র’ শব্দে গুচ্ছধ্বনির সংখ্যা ১টি।
- সুরতরঙ্গ নির্দেশ করে বাক্যে সুরের ওঠানামা।
- যতিচিহ্ন সাধারণত ব্যবহৃত হয় শব্দসীমায়।
বাংলা শিল্প, সাহিত্য-সংস্কৃতির ইতিহাস
বাঙালির বিজ্ঞানচর্চা
- ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিসটিক্যাল ইনস্টিটিউট (Indian Statistical Institute) ও প্রতিষ্ঠাতা আধুনিক ভারতের রাশি বিজ্ঞানের জনক – প্রশান্তচন্দ্র মহালানবিশ।
- বাংলায় বিজ্ঞান রচনায় পথিকৃৎ পত্রিকাটির নাম – দিগদর্শন।
- ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কালটিভেশন অফ সাইন্স (IACS) এর প্রতিষ্ঠাতা – মহেন্দ্রলাল সরকার।
- বেঙ্গল কেমিক্যাল (Bengal Chemicals) এর প্রতিষ্ঠাতা – আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়।
- এশিয়াটিক সোসাইটি (Asiatic Society) কে কবে প্রতিষ্ঠা করেন – উইলিয়াম জোন্স, ১৭৮৪ খ্রিস্টাব্দে।
- জগদীশচন্দ্র বসুর লেখা একটি বিখ্যাত গ্রন্থ – “অব্যক্ত”।
- শিবপুর বোটানিক্যাল গার্ডেন (Shibpur Botanical Garden) কবে প্রতিষ্ঠিত হয় – ১৭৮৭ খ্রিস্টাব্দে [আদি নাম ছিল Royal Botanic Garden]।
- ভারতীয় উদ্ভিদ বিদ্যার জনক ছিলেন – উইলিয়াম রক্সবার্গ (William Roxburgh)।
- কলকাতা মেডিকেল কলেজ কত খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয় – ১৮৩৫ খ্রিস্টাব্দে।
- বসু বিজ্ঞান মন্দির (Bose Institute) কবে স্থাপিত হয় – ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে।
- কালা জ্বরের ঔষধ আবিষ্কার করেন – উপেন্দ্রনাথ ব্রহ্মচারী।
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর “কথা” ও “কল্পনা” কাব্য দুটি উৎসর্গ করেছিলেন – জগদীশচন্দ্র বসুকে।
- বাংলার প্রথম মহিলা ডাক্তারের নাম – কাদম্বিনী গাঙ্গুলি।
- কোন দিনটিকে চিকিৎসক দিবস হিসেবে পালন করা হয় – ১ জুলাই (1st July)।
- বাংলার কীটপতঙ্গ (Insects of Bengal) বইটি লিখেছিলেন – বিজ্ঞানী গোপালচন্দ্র ভট্টাচার্য।
- RG Kar মেডিকেল কলেজ (RG Kar Medical College) এর নাম রাখা হয়েছে – ডাঃ রাধাগোবিন্দ কর-এর নামে।
- টলস্টয় অফ বেঙ্গল (Tolstoy of Bengal) নামে পরিচিত – মহেন্দ্রচন্দ্র নন্দী।
- হিন্দু কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮১৭ সালের ২০ জানুয়ারি।
- বেঙ্গল টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট এর প্রতিষ্ঠাতা স্যার তরকনাথ পালিত
- প্রথম ভারতীয় হিসেবে রসায়নের অধ্যাপনার কাজে নিযুক্ত হন চুনিলাল বসু।
- কাদম্বিনী বসুর শৈশব সঙ্গিনী ছিলেন কবি কামিনী রায়।
- স্কুল অফ ফিজিক্স প্রতিষ্ঠা করেন মেঘনাদ সাহা।
- কুন্তলীন কেশ তেলের আবিষ্কারক ও এরিসোল রোডে মোটরগাড়ি ও মোটরসাইকেলের ব্যবসায়ী হেমেন্দ্রমোহন বসু (Hemendramohan Bose)।
- কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যার প্রথম ছাত্র ছিলেন দুর্গাদাস মুখোপাধ্যায়।
- করবি ফুলের বিষক্রিয়া নিয়ে গবেষণা করেন চুনিলাল বসু।
- বেঙ্গল টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট এর প্রথম অধ্যক্ষ ও পরিদর্শক ছিলেন প্রমথনাথ বসু।
- হিন্দু রসায়ন শাস্ত্রের ইতিহাস গ্রন্থের রচয়িতা ছিলেন প্রফুল্ল চন্দ্র রায়।
- তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা অক্ষয়কুমার দত্তের সম্পাদনায় আত্মপ্রকাশ করে।
- ভারতে প্রথম দূরবীন নির্মাতা ছিলেন নগেন্দ্রনাথ ধর।
- এদেশে অটোভ্যাকসিন পদ্ধতি চালু করেন বিজ্ঞানী ইন্দুমাধব মল্লিক।
বাঙালির ক্রীড়াসংস্কৃতি
- ভারতীয় ফুটবলের ইতিহাসে চিরস্মরণীয় ব্যক্তিত্ব নগেন্দ্রপ্রসাদ সর্বাধিকারী ছিলেন।
- প্রথম বিশ্ব বিখ্যাত বাঙালি সাঁতারু মিহির সেন।
- কুস্তি খেলার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন গোবর গুহ।
- মোহনবাগান ক্লাব ১৮৮৯ সালে গঠিত হয়।
- ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের জন্ম ১৯২০ সালে হয়।
- ভারতের প্রথম ক্রিকেট খেলা শুরু হয় ১৭২১ সালে।
- নারায়ণচন্দ্র ঘোষ পশ্চিমবঙ্গে কাবাডি খেলার প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ স্থান গ্রহণ করে।
- বাংলাদেশের ক্রিকেটের জনক মনে করা হয় সারদারঞ্জন রায়চৌধুরী-কে।
- বাঙালি প্রথম সার্কাসের নাম ছিল “National Circus”।
- উত্তরবঙ্গের টেবিল টেনিস শহর শিলিগুড়ি।
- টেবিল টেনিসের দোনাচার্য নামে পরিচিত ভারতী ঘোষ বসু।
- রবীন্দ্রনাথ হীরা সিং-এর কাছে কুস্তি শিখতেন।
- যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের বর্তমান নাম স্বামী বিবেকানন্দ যুব ক্রীড়াঙ্গন (Vivekananda Yuba Bharati Krirangan)।
- রামায়ণের কাহিনী অনুসারে দাবা খেলার স্রষ্টা রাবণের স্ত্রী মন্দোদরী দেবী
- মোহনবাগান প্রথম IFA Shield জয় করে ১৯১১ সালে।
- প্রথম যে ভারতীয় ইংলিশ চ্যানেল পার হন তার নাম মিহির সেন।
- প্রথম বাঙালি মহিলা যিনি ইংলিশ চ্যানেল পার হন তার নাম অরতি সাহা।
- ধ্যানচাঁদ এর লেখা বইটির নাম “গোল”।
- বাংলার ম্যাজিকের জনক গণপতি চক্রবর্তী।
- “ক্রিকেট খেলা” বইটি লিখেছিলেন সারদারঞ্জন রায়চৌধুরী।
- বাঙালির ব্যাডমিন্টন খেলার অপর নাম “পুনা গেম”।
- দিব্যেন্দু বড়ুয়া ও সূর্যশেখর গাঙ্গুলী দাবা খেলার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
- ভারতের যে মহিলা বাঘের সঙ্গে খেলা দেখাতেন তার নাম সুশীলা সুন্দরী।
- কাবাডি খেলাকে পশ্চিমবঙ্গে ” হা-ডু-ডু” বলা হয়।
- বাংলার আয়রন ম্যান নামে পরিচিত ছিলেন নীলমনি দাস।
- টেবিল টেনিস খেলার অপর নাম “পিং পং”।
- পশ্চিমবঙ্গ থেকে সর্বপ্রথম গ্র্যান্ড মাস্টার হন দিব্যেন্দু বড়ুয়া।
- ভারতীয় ফুটবলের রাজধানী কলকাতা শহর।
- যে স্থানে কুস্তি খেলা হয় তাকে আখড়া বলে।
- যে বাঙালি প্রথম ফুটবলে পা ছোঁয়ায় তার নাম নগেন্দ্রপ্রসাদ সর্বাধিকারী।
বাঙালির সংগীতচর্চা
- জারি গানে ‘জারি’ শব্দের অর্থ হল — ‘ক্রন্দন’।
- টপ্পা গানকে বাংলায় জনপ্রিয় করে তোলেন — রামনিধি গুপ্ত।
- বাংলায় ধ্রুপদ রচনা করেন — রামসংকর ভট্টাচার্য।
- চারণ কবি নামে পরিচিত ছিলেন — মুকুন্দ দাস।
- “তুমি নির্মল কর, মঙ্গল করে” গানটি লিখেছেন — রজনীকান্ত সেন।
- “বল বল বল সবে” গানটি লিখেছেন — অতুল প্রসাদ সেন।
- একজন উল্লেখযোগ্য কবিয়াল এর নাম — হরি ঠাকুর।
- সত্যজিৎ রায়ের “পথের পাঁচালী” চলচ্চিত্রের সংগীত পরিচালনা করেন — পণ্ডিত রবিশঙ্কর।
- কিশোর কুমারের প্রকৃত নাম — আভাষ কুমার গাঙ্গুলি।
- মান্না দের প্রকৃত নাম — প্রবোধ চন্দ্র দে।
- মাঝি মোল্লাদের গান — ‘ভাটিয়ালি’ নামে পরিচিত।
- “ধনধান্যে পুষ্পে ভরা” গানটির রচয়িতা — দ্বিজেন্দ্রলাল রায়।
- “মায়ের দেওয়া মোটা কাপড় মাথায় তুলে নি রে ভাই” গানটি লিখেছেন — রজনীকান্ত সেন।
- “We Shall Overcome” গানটি বাংলায় অনুবাদ করেন — হেমাঙ্গ বিশ্বাস এবং শিবদাস বন্দ্যোপাধ্যায়।
- “রূপচাঁদ পক্ষী” কার ছদ্মনাম — গৌরহরি মহাপাত্র।
- ঢপ কীর্তনের প্রবর্তক — রূপচাঁদ পক্ষী।
- বাংলা গজলের গানের পথিকৃৎ ছিলেন — অতুলপ্রসাদ সেন।
- কীর্তনের জন্য অপরিহার্য বাদ্যযন্ত্রটি — শ্রীখোল।
- কিশোর রবীন্দ্রনাথের সংগীত শিক্ষক ছিলেন — যদুভট্ট।
- “কফি হাউসের আড্ডাটা” গানটি লিখেছেন — মান্না দে।
- ঋত্বিক ঘটকের “অজান্তিক” সিনেমার সংগীত পরিচালক ছিলেন — আলী আকবর খান।
- খেয়াল গানে ‘খেয়াল’ কথার অর্থ — ভাবনা, চিন্তা, কল্পনা, ইচ্ছামতো কাজ করা।
- “গীতগোবিন্দম্”-এর পদগুলি রচিত — সংস্কৃত ভাষায়।
- মানুষের প্রথম সংগীত যন্ত্র ছিল — নিজের কণ্ঠস্বর।
- মহাভারতের প্রথম বাংলা অনুবাদক — কবীন্দ্র পরমেশ্বর বা পরমেশ্বর দাস।
- শাক্ত পদাবলীর প্রথম ও প্রধান কবি ছিলেন — রামপ্রসাদ সেন।
- বাংলাদেশে প্রচলিত কীর্তনের জনক — শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু (গৌরাঙ্গ)।
- বেগম আখতার — ঠুংরি গানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
- ভাটিয়ালি সুরে একটি রবীন্দ্রসঙ্গীতের নাম — “ওরে গৃহবাসী”, “গ্রাম ছাড়া ওই রাঙামাটির পথ”।
- “কবি কান্ত” নামে পরিচিত — রজনীকান্ত সেন।
- রামশঙ্কর ভট্টাচার্যের শিক্ষাগুরু ছিলেন — উস্তাদ বাহাদুর খান।
- কালিদাস চট্টোপাধ্যায় খ্যাত ছিলেন — “কালী মির্জা” নামে।
- ঠুংরি গানের প্রবর্তক — নওয়াব ওয়াজিদ আলি শাহ।
- মান্না দে ২০০৫ সালে পান — “পদ্মভূষণ” পুরস্কার।
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আনুমানিক গান রচনা করেছিলেন — ২,২৩২টি।
- “হাফ আখড়াই” গানের প্রবর্তক ছিলেন — নিধুবাবুর শিষ্য মোহনচাঁদ বসু।
- জিগল বলা হয় — বিজ্ঞাপন সঙ্গীতকে।
- “অ্যান্টোনিও ফিরিঙ্গি” বিখ্যাত ছিলেন — কবিয়াল প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য।
- “লীলা কীর্তনের অপর নাম কি” — রসকীর্তন।
- একজন উল্লেখযোগ্য শক্তি সাধকের নাম — কমলাকান্ত ভট্টাচার্য।
উচ্চমাধ্যমিক Class 12 সেমিস্টার প্রস্তুতির জন্য অবশ্যই আমাদের “টার্গেট” whatsapp গ্রুপ জয়েন করতে পারো: Join Group Now ↗
তোমাদের সেমিস্টারের প্রস্তুতি, মক টেস্ট, প্র্যাকটিস MCQ জন্য অবশ্যই EduTips App – বিনামূল্যে কোর্সে জয়েন করতে পারো।
WBCHSE HS 3rd Semester Bengali Suggestion PDF: উচ্চমাধ্যমিক বাংলা সম্পূর্ণ সাজেশন ডাউনলোড
উচ্চ মাধ্যমিক 3rd Semester বাংলা সাজেশন 2026 ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষায় ভালো নম্বর পেতে বিশেষ সহায়ক হবে। যারা এই সাজেশন ভালোভাবে অনুশীলন করবে তারা যেকোনো ধরণের প্রশ্ন সহজেই করতে পারবে।
সাজেশন | তথ্য |
---|---|
উচ্চমাধ্যমিক তৃতীয় সেমিস্টার বাংলা সাজেশন (পাঠ্য, ভাষা ও সাহিত্যের ইতিহাস) | 18 Pages |
↓ PDF Download | 1.8 MB |
উচ্চমাধ্যমিক 3rd Sem সমস্ত বিষয়ের সাজেশন (Coming..) | Click Here |
গুরুত্বপূর্ণ: WBCHSE HS OMR Sheet PDF (New) পরীক্ষার অফিসিয়াল ওএমআর উচ্চ মাধ্যমিক সংসদের কপি ডাউনলোড
HS 3rd Semester Bengali Suggestion 2026, উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন, WBCHSE Bengali 3rd Semester Suggestion, HS Bengali 2026 PDF, 3rd Semester Bengali Question Paper Suggestion, Bengali Suggestion HS Exam 2026.
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ ও টেলিগ্রাম গ্রুপে যুক্ত হোন -
আরও আপডেট »