Commerce Students Career: কমার্স ছাত্রছাত্রীদের জন্য সেরা 20+ কেরিয়ার অপশন! সবগুলো দেখে নিন

Gobinda Gorai

Published on:

Commerce Students Career Option

উচ্চ মাধ্যমিকের (Higher Secondary) স্তরে কমার্স (Commerce) নিয়ে পড়াশোনা করলে সামনে অনেক সম্ভাবনা খোলা থাকে। শুধুমাত্র হিসাবরক্ষণের গণ্ডির মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে ফাইনান্স, ব্যাঙ্কিং, ইনভেস্টমেন্ট, বীমা, মার্কেটিং প্রভৃতি অনেক দিকেই যাওয়া যায়। তবে কোন পেশা উপযুক্ত, কীভাবে শুরু করবে, কোথায় পড়তে হবে — এসব বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা না থাকায় অনেকেই সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।

এই লেখাটি মূলত পশ্চিমবঙ্গের কমার্স ছাত্রছাত্রীদের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ কেরিয়ার গাইড (Career Guide for Commerce Students in West Bengal)। যেখানে কমার্স নিয়ে পড়ার পর ভবিষ্যতে যে সকল লাইন রয়েছে – এখানে প্রতিটি পেশার সহজ ব্যাখ্যা, কাজের ধরন এবং কীভাবে সেই পেশায় প্রবেশ করবে, তা সহজ করে শেয়ার করা হলো।

একনজরে »

১. চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট (Chartered Accountant – CA)

CA একটি অত্যন্ত সম্মানজনক ও চাহিদাসম্পন্ন পেশা। যদি ফাইনান্স ও হিসাব ভালোবাস এবং জটিল হিসেব-নিকেশে আগ্রহ থাকে, তাহলে এই পেশাটি উপযুক্ত। CA-রা মূলত কোম্পানি বা সংস্থার অ্যাকাউন্ট অডিট (Audit), ট্যাক্স (Taxation), আর্থিক পরামর্শ (Financial Consulting) ইত্যাদি কাজ করে থাকেন।

  • পেশার ধরন (Nature of Work): হিসাব অডিট করা, কর পরিকল্পনা (Tax Planning), ফাইনান্সিয়াল স্টেটমেন্ট তৈরি, কোম্পানি অ্যাডভাইসিং ইত্যাদি।
  • যোগ্যতা (Eligibility): Higher Secondary পাশ করার পর ICAI-র Foundation কোর্সে ভর্তি হয়ে ধাপে ধাপে পরীক্ষা দিয়ে CA হতে হবে।

এই পেশায় যাওয়ার জন্য আপনাকে ICAI (Institute of Chartered Accountants of India) এর মাধ্যমে তিনটি ধাপের পরীক্ষা দিতে হয় – Foundation, Intermediate ও Final।

২. ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকার (Investment Banker)

যদি দ্রুতগতির ও বিশ্লেষণভিত্তিক কর্পোরেট দুনিয়ায় কাজ করতে চান, তাহলে ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকার হওয়া আপনার জন্য একটি চমৎকার বিকল্প। এই পেশার মূল কাজ হল বিভিন্ন কোম্পানিকে টাকা জোগাড়ে সাহায্য করা, IPO (Initial Public Offering) ম্যানেজ করা, বড় বড় কোম্পানির মধ্যে মার্জার (Mergers) বা অধিগ্রহণ (Acquisition) সম্পন্ন করা।

  • পেশার ধরন (Nature of Work): IPO, মার্জার, ইনভেস্টমেন্ট স্ট্র্যাটেজি, বড় কর্পোরেট লেনদেন পরিচালনা।
  • যোগ্যতা (Eligibility): B.Com বা BBA-এর পরে MBA (Finance) অথবা CFA করলে ভালো সুযোগ পাওয়া যায়। ইন্টার্নশিপ করাই বুদ্ধিমানের কাজ।

এই কাজটি অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং হলেও বেতনের দিক থেকে অন্যতম সেরা। কলকাতা ও মুম্বাই-তে অনেক বড় ফার্ম এই পদে নিয়োগ করে থাকে।

৩. চার্টার্ড ফিনান্সিয়াল অ্যানালিস্ট (CFA – Chartered Financial Analyst)

CFA হল একটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ডিগ্রি, যা মূলত বিনিয়োগ, পোর্টফোলিও ম্যানেজমেন্ট এবং ফিনান্সিয়াল অ্যানালাইসিসে আগ্রহী ছাত্রছাত্রীদের জন্য। যারা স্টক মার্কেট, মিউচুয়াল ফান্ড, ইক্যুইটি রিসার্চে কাজ করতে চান, তাদের জন্য CFA ডিগ্রি একটি শক্তিশালী ভিত্তি।

  • পেশার ধরন (Nature of Work): ইক্যুইটি রিসার্চ, ইনভেস্টমেন্ট অ্যানালাইসিস, পোর্টফোলিও ম্যানেজমেন্ট।
  • যোগ্যতা (Eligibility): Graduation চলাকালীন বা পরে CFA কোর্সে ভর্তি হওয়া যায়। তিনটি স্তরে পরীক্ষা দিতে হয়। ভালো ইংরেজি ও অ্যানালিটিক্যাল স্কিল থাকতে হয়।

এই ডিগ্রি পেতে গেলে CFA ইনস্টিটিউটের তিনটি ধাপে পরীক্ষা দিতে হয় — Level 1, 2 ও 3। এই পরীক্ষা গুলি ইংরেজিতে হয় এবং প্র্যাকটিক্যাল অ্যাপ্রোচের উপর জোর দেওয়া হয়।

৪. CMA – কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্ট (Cost and Management Accountant)

যে কোনও সংস্থার উৎপাদন খরচ, পরিচালন ব্যয় এবং লাভজনকতার বিশ্লেষণ করতে সাহায্য করে CMA পেশাজীবীরা। তারা কোম্পানিকে জানায়, কীভাবে খরচ কমিয়ে মুনাফা বাড়ানো যায় এবং কীভাবে একটি ব্যাবসা আরও টেকসই হতে পারে।

  • পেশার ধরন: কস্ট ক্যালকুলেশন (Cost Calculation), বাজেট বিশ্লেষণ (Budget Analysis), ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং, ইন্ডাস্ট্রিয়াল অডিট।

যোগ্যতা: যে কেউ ১২ পাশ করার পর এই কোর্সে ভর্তি হতে পারে। CMA কোর্স করাতে হয় ICMAI (Institute of Cost Accountants of India) থেকে তিনটি স্তর থাকে:
1️⃣ CMA Foundation
2️⃣ CMA Intermediate
3️⃣ CMA Final

এই পেশাটি বিশেষ করে ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি, ফার্মা, FMCG, ও সরকারি সংস্থা গুলিতে অত্যন্ত চাহিদাসম্পন্ন।যারা CA না করে একটু কম সময়ে এবং একইভাবে ফিনান্স ও কস্ট ফিল্ডে কাজ করতে চান, তাদের জন্য CMA খুব ভালো অপশন। সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থায় ভালো বেতনে চাকরি পাওয়া যায়।

অবশ্যই দেখো: Accountant হতে গেলে কি নিয়ে পড়তে হবে? Job Profile, Salary সবকিছু জেনে নাও

৫. কোম্পানি সেক্রেটারি (Company Secretary – CS)

Company Secretary হল একটি গুরুত্বপূর্ণ কর্পোরেট পজিশন। বড় কোম্পানিগুলিতে আইনি কাজকর্ম, কর্পোরেট গভর্নেন্স (Corporate Governance), রেজিস্ট্রেশন, স্টেকহোল্ডারদের কমিউনিকেশন—সব কিছুর দেখভাল করেন একজন CS।

  • পেশার ধরন: আইনি ফাইলিং, বোর্ড মিটিং-এর ডকুমেন্টেশন, SEBI/ROC-এর সঙ্গে যোগাযোগ।
  • যোগ্যতা: HS পাস করার পর CSEET দিয়ে শুরু করতে হয়। এরপর পর্যায়ক্রমে Executive ও Final পাশ করতে হয়।

এই কোর্স পরিচালনা করে ICSI (Institute of Company Secretaries of India)। এখানে তিনটি ধাপ আছে—CSEET (Foundation), Executive, Final।

৬. পার্সোনাল ফিনান্স অ্যাডভাইসর (Personal Financial Advisor)

এই পেশায় আপনি ব্যক্তিগত বা পারিবারিক আর্থিক পরিকল্পনা করে দেন। যেমন: সঞ্চয় পরিকল্পনা, ট্যাক্স পরিকল্পনা, বিনিয়োগ কনসাল্টিং ইত্যাদি। কলকাতা বা মেট্রো শহরগুলোতে ফিনান্স অ্যাডভাইসরদের চাহিদা প্রতিনিয়ত বাড়ছে।

  • পেশার ধরন: বাজেট তৈরি, ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান, ক্লায়েন্টদের ফিনান্সিয়াল গাইডেন্স।
  • যোগ্যতা: B.Com, BBA, এর সাথে NISM, CFP কোর্স করলে ভালো সুযোগ মেলে।

৭. ফিনান্সিয়াল প্ল্যানার (Financial Planner)

একজন ফিনান্সিয়াল প্ল্যানার ব্যক্তি বা সংস্থার জন্য আর্থিক লক্ষ্য (Financial Goals) ঠিক করে দেন এবং সেগুলিকে কিভাবে পূরণ করা যায় তার রোডম্যাপ তৈরি করেন। এটি কিছুটা পার্সোনাল ফিনান্স অ্যাডভাইজারের মতো হলেও এখানে আরও টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস প্রয়োজন হয়।

  • পেশার ধরন: লং-টার্ম ইনভেস্টমেন্ট স্ট্র্যাটেজি, রিটায়ারমেন্ট প্ল্যান, ট্যাক্স বেনিফিট প্ল্যানিং।
  • যোগ্যতা: B.Com বা MBA-এর পর CFP (Certified Financial Planner) কোর্স করুন।

৮. ব্যাঙ্কার (Banker)

ব্যাঙ্কে কাজ মানেই শুধু ক্যাশ কাউন্টার নয়। এখন অনেক রকম ব্যাংকিং সেক্টর আছে – যেমন কর্পোরেট ব্যাঙ্কিং, রিটেল ব্যাঙ্কিং, ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কিং ইত্যাদি। চাকরি করতে চাইলে সরকারি বা বেসরকারি ব্যাঙ্কের চাকরি দুইটাই হতে পারে।

  • পেশার ধরন: ক্লায়েন্ট পরিষেবা, ঋণ প্রদান, অ্যাকাউন্ট ম্যানেজমেন্ট, KYC যাচাই।
  • যোগ্যতা: Graduation + ব্যাংকিং পরীক্ষায় (SBI PO, IBPS) উত্তীর্ণ হতে হবে।

আরো দেখবে: Banking Job Eligibility, Exam: ব্যাংক সেক্টরে চাকরির গাইড! যোগ্যতা কি লাগবে? ক্লার্ক, অফিসার সমস্ত তথ্য

৯. বিজনেস কনসালট্যান্ট (Business Consultant)

বিজনেস কনসালট্যান্টরা কোম্পানির সমস্যা বিশ্লেষণ করে তার সমাধান দিয়ে থাকেন। বড় কোম্পানির Efficiency, Profitability বাড়ানোই এদের কাজ।

  • পেশার ধরন: কোম্পানির প্রক্রিয়া বিশ্লেষণ, সিস্টেম উন্নয়ন, ক্লায়েন্ট মিটিং।
  • যোগ্যতা: MBA বা BBA সহ বিশ্লেষণ ক্ষমতা এবং কমিউনিকেশন স্কিল।

১০. ট্যাক্স কনসালট্যান্ট (Tax Consultant)

এই পেশায় ব্যক্তি বা কোম্পানির কর ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করতে হয়। আপনাকে ইনকাম ট্যাক্স, GST ইত্যাদি ভালোভাবে জানতে হবে।

  • পেশার ধরন: রিটার্ন ফাইল করা, কর পরিকল্পনা, GST পরামর্শ।
  • যোগ্যতা: CA / LLB / Taxation কোর্স অথবা Govt. Certified Tax Preparer (CTP) কোর্স।

১১. ইনশিওরেন্স আন্ডাররাইটার (Insurance Underwriter)

বীমা বা ইন্সুরেন্সের নীতিগুলি গ্রহণ করার আগে যে ঝুঁকি বিশ্লেষণ করা হয় তা এই পদের প্রধান কাজ। এই কাজটি বীমা সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। এটি শুধুমাত্র পার্সোনাল বা ব্যক্তির ইন্সুরেন্স নয়, কোন কর্পোরেট ইন্সুরেন্স, লোন ইন্সুরেন্স কিংবা বিজনেসের কোন সেক্টরের ইন্সুরেন্সও এর মধ্যে থাকে

  • পেশার ধরন: রিস্ক বিশ্লেষণ, ক্লায়েন্ট প্রোফাইল যাচাই, প্রিমিয়াম নির্ধারণ।
  • যোগ্যতা: B.Com + ইনশিওরেন্স সংক্রান্ত কোর্স (LIC বা IRDAI লাইসেন্স)।

১২. ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টেন্ট (Management Accountant)

এরা মূলত কর্পোরেট ফিনান্স, বাজেটিং ও পরিকল্পনার কাজে যুক্ত। এটা একটি স্ট্র্যাটেজিক পদ।

  • পেশার ধরন: বাজেট বিশ্লেষণ, ফিনান্সিয়াল রিস্ক ম্যানেজমেন্ট, কোম্পানি প্ল্যানিং।
  • যোগ্যতা: ICWA / CMA কোর্স, MBA ফিনান্স করলে বাড়তি সুবিধা।

১৩. ফিনান্সিয়াল অ্যানালিস্ট (Financial Analyst)

এই পেশায় বিভিন্ন কোম্পানির ফিনান্সিয়াল রিপোর্ট, মার্কেট ট্রেন্ড বিশ্লেষণ করা হয়। স্টক মার্কেট ও ইনভেস্টমেন্ট ফার্মে এদের চাহিদা বেশি।

পেশার ধরন: বিনিয়োগ বিশ্লেষণ, রিপোর্ট তৈরি, আর্থিক ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা।

যোগ্যতা: CFA / MBA Finance + Excel ও ডেটা অ্যানালাইসিস স্কিল।

১৪. কর্পোরেট ল’ইয়ার (Corporate Lawyer)

কোম্পানির আইনগত বিষয়, চুক্তি, নীতিমালা – সবকিছুর আইনি দিক দেখেন কর্পোরেট ল’ইয়ার।

  • পেশার ধরন: চুক্তিপত্র রচনা, লিগ্যাল অ্যাডভাইস, কোম্পানি সংক্রান্ত মামলা মোকদ্দমা।
  • যোগ্যতা: B.Com + LLB / Company Law Specialisation।

বিস্তারিত: How to Become Lawyer? LLB, Eligibility, Admission: উকিল আইনজীবী কিভাবে হবে? সবকিছু দেখে নিন

১৫. রিটেইল ম্যানেজার (Retail Manager)

মার্কেটিং, সেলস ও কাস্টমার হ্যান্ডলিং – সব কিছু মিলিয়ে রিটেইল স্টোরের পূর্ণাঙ্গ পরিচালনাই এই পদের কাজ।

  • পেশার ধরন: স্টোর পরিচালনা, বিক্রয় বিশ্লেষণ, স্টাফ ম্যানেজমেন্ট।
  • যোগ্যতা: BBA / MBA in Retail Management / Work Experience।

১৬. মার্কেট রিসার্চ অ্যানালিস্ট (Market Research Analyst)

বিভিন্ন সংস্থা বা কোম্পানি যখন নতুন পণ্য বাজারে আনে বা বিদ্যমান পণ্যের বাজার উন্নয়নের কথা ভাবে, তখন মার্কেট রিসার্চ অ্যানালিস্টদের ভূমিকা হয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তারা গবেষণা করে বোঝেন কী ধরনের পণ্য বাজারে চলবে, ক্রেতাদের পছন্দ-অপছন্দ কী এবং প্রতিযোগীদের অবস্থা কী রকম।

  • পেশার ধরন: ডেটা কালেকশন, কাস্টমার সার্ভে, ট্রেন্ড বিশ্লেষণ, রিপোর্ট তৈরি।
  • যোগ্যতা: BBA/B.Com + MBA (Marketing) অথবা Market Research Certificate কোর্স।

১৭. হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজার (Human Resource Manager – HR)

একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মী নিয়োগ, প্রশিক্ষণ, বেতন কাঠামো এবং কর্মী সম্পর্ক বজায় রাখার দায়িত্ব HR ম্যানেজারের ওপর নির্ভর করে। এটি একটি কর্পোরেট সংস্থার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ।

  • পেশার ধরন: কর্মী বাছাই, ইন্টারভিউ নেওয়া, অফিসের অভ্যন্তরীণ নীতি মেনে চলা নিশ্চিত করা।
  • যোগ্যতা: BBA in HR → MBA in Human Resource Management (পশ্চিমবঙ্গেও বহু ভালো প্রতিষ্ঠান আছে)।

১৮. পাবলিক রিলেশনস ম্যানেজার (Public Relations Manager)

প্রতিষ্ঠানগুলিকে মিডিয়া ও সাধারণ জনগণের কাছে ইতিবাচকভাবে উপস্থাপন করাই পাবলিক রিলেশনস ম্যানেজারের কাজ। যেকোনো সংস্থার Goodwill এবং Brand Image বজায় রাখতে এই পদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।

  • পেশার ধরন: প্রেস রিলিজ লেখা, মিডিয়া মিটিং আয়োজন, ইমেজ ম্যানেজমেন্ট।
  • যোগ্যতা: Mass Communication / BBA / MBA + PR Communication Certification।

১৯. অ্যাডভারটাইজিং ম্যানেজার (Advertising Manager)

কোনো পণ্য বা পরিষেবার বিজ্ঞাপন তৈরি, পরিচালনা ও বাস্তবায়ন করার দায়িত্ব এই পদের অধীনে পড়ে। এটি অত্যন্ত ক্রিয়েটিভ এবং মার্কেটিং-ভিত্তিক একটি চাকরি।

  • পেশার ধরন: ক্যাম্পেইন ডিজাইন, ক্লায়েন্ট মিটিং, ব্র্যান্ড কমিউনিকেশন প্ল্যানিং।
  • যোগ্যতা: BBA/MBA in Marketing / Advertising অথবা Mass Communication কোর্স।

২০. ডিজিটাল মার্কেটার (Digital Marketer)

আজকের যুগে সব ব্যবসাই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে চলে এসেছে। ডিজিটাল মার্কেটাররা SEO, Google Ads, Social Media Marketing, ইমেইল মার্কেটিং-এর মাধ্যমে কোম্পানির ব্র্যান্ড এবং বিক্রি বাড়ান।

  • পেশার ধরন: SEO, Content Marketing, Facebook Ads, Google Analytics বিশ্লেষণ।
  • যোগ্যতা: B.Com / BBA + Digital Marketing কোর্স (Google, Hubspot, Udemy)।

দেখে নাও: HS Pass Govt Job: উচ্চমাধ্যমিক পাশে কি কি সরকারি চাকরি আছে? সম্পূর্ণ তালিকা দেখে নিন

কমার্স স্ট্রিমের ছাত্রছাত্রীদের জন্য আজকের যুগে পেশার পরিধি অনেকটাই বিস্তৃত। শুধু CA বা ব্যাঙ্কিং নয়, ফিনান্স, ম্যানেজমেন্ট, আইনি পরামর্শ, ডিজিটাল মার্কেটিং, রিসার্চ — সবখানেই এখন কমার্সের চাহিদা রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, নিজের আগ্রহ ও দক্ষতার উপর ভিত্তি করে ক্যারিয়ার বেছে নেওয়া। কোন বিষয়ে পরামর্শের দরকার হলে আমাদের সঙ্গে কথা বলতে পারে, এরকমই সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ক্যারিয়ার ইনফরমেশন পেতে আমাদের সাথে যুক্ত হয়ে যান।

Join Group

Telegram